জয়পুরহাট থেকে রাজশাহী সকল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
প্রিয় পাঠক আশা করি ভালো আছেন, আপনি কি জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে ট্রেনে ভ্রমণের কথা ভাবছেন, ভাবছেন কি কত টাকা ভাড়া হবে এবং ট্রেনের সময়সূচী কখন? এখন আর চিন্তা নেই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার সকল প্রশ্নের সমাধান মিলবে।
আজকের এই পার্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন জয়পুরহাট থেকে রাজশাহী যেতে কত টাকা ভাড়া লাগে, কতগুলো ট্রেন চলাচল করে ও ট্রেনের সময়সূচী কখন। জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীর দূরত্ব কত কিলোমিটার। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন ও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস ও নির্মাণ কালের সময়। তো চলুন আজকের আলোচনা শুরু করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জয়পুরহাট থেকে রাজশাহী সকল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
- জয়পুরহাট থেকে রাজশাহী সকল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
- জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীর দূরত্ব কত
- জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস
- রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস
- আমাদের শেষ কথা
আরো পড়ুনঃ পোড়াদহ থেকে রাজশাহী সকল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
জয়পুরহাট থেকে রাজশাহী সকল ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
যাতায়াতের জন্য জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ট্রেন। তাই প্রতিদিন বহু সংখ্যক লোক জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে আসে ট্রেনে চড়ে। জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে দূরপাল্লার তিনটি ট্রেন চলাচল করে। ট্রেনগুলো হলঃ
- বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (৭৩২)
- বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (৮০৪)
- তিতুমীর এক্সপ্রেস (৭৩৪)
জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীর ভাড়াঃ সুপার চেয়ার
- বরেন্দ্র এক্সপ্রেসঃ ১৬৫ টাকা
- বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসঃ ১৬৫ টাকা
- তিতুমীর এক্সপ্রেসঃ ১৬৫ টাকা
জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীর ভাড়াঃ এসি চেয়ার
- বরেন্দ্র এক্সপ্রেসঃ এসি চেয়ার নাই
- বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসঃ ৩৭৪ টাকা
- তিতুমীর এক্সপ্রেসঃ এসি চেয়ার নাই
জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীর ট্রেনের সময়সূচী
- বরেন্দ্র এক্সপ্রেসঃ সকাল ৮:০১ মিনিটে ছাড়ে - সকাল ১১:১০ মিনিটে পৌছায়
- বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসঃ দুপুর ১:৪৬ মিনিটে ছাড়ে - বিকাল ৫:১৫ মিনিটে পৌছায়
- তিতুমীর এক্সপ্রেসঃ সন্ধা ৬:১৫ মিনিটে ছাড়ে - রাত ৯:৩০ মিনিটে পৌছায়
জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীর দূরত্ব কত
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এর দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার। যাত্রাপথের দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় ট্রেনের মাধ্যমে জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে আসতে সাড়ে তিন ঘন্টা থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী থেকে ভেড়ামারা সকল ট্রনের সময় সূচি ও ভাড়া
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস
জয়পুরহাট বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় রেলওয়ে স্টেশন। সল্প খরচ ভোগান্তি কম, নির্দিষ্ট সময়ে দূরপাল্লার পথ পাড়ি দেওয়া যায়, যাত্রাপথে কোন অসুবিধার সৃষ্টি হয় না। তাই সময় অপচয় হয় না এ কারণেই প্রতিদিন বহু সংখ্যাগুলো মাইক্রোবাস বাইক ইত্যাদি ছেড়ে ট্রেনে এই স্টেশনের ট্রেন দিয়ে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্য পাড়ি দেয়। জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরাতন স্টেশন।
১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ আমলে নির্মাণ করার পর এটি মিটার গেজ লাইন ছিল পরবর্তীতে ১৯২৪ সালে এই স্টেশনে মিটার গেজ লাইন হতে ব্রডগেজ লাইন স্থাপন করা হয়। আপ ও ডাউন ট্রেনের জন্য জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দুইটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এই স্টেশনের খুবই কাছে রয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত সান্তাহার জংশন স্টেশন ও পার্বতীপুর জংশন স্টেশন।
জয়পুরহাট বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় এখান থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটান নিকটবর্তী হয়, তাই প্রতি বছর বহু সংখ্যক পর্যটন ট্রেনে এই স্টেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখে। সুতরাং বলা চলে জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরাতন জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তর রেলওয়ে স্টেশন। রাজশাহী থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য রাজশাহীর প্রধান যানবহন হলো ট্রেন। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীরা বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রেনে করে রাজশাহীতে আসে আবার যায়। শিক্ষা নগরী রাজশাহীতে উন্নত শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে ট্রেনের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে।
১৯৩০ সালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সর্বপ্রথম চালু করা হয় এবং পরবর্তীতে ২০০৩ সালে পূর্ণ নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন সময়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের নাম ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন। এটি একটি ব্রডগেজ লাইনের স্টেশন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন মোট ৮ টি প্লাটফর্ম রয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষের আনাগোনা ও কোলাহলে এ প্ল্যাটফর্ম গুলো মুখরিত থাকে।
পরিশেষে বলা যায় বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর ও জনবহুল স্টেশন হলো রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন মানুষের জীবনযাত্রা কর্ম ও শিক্ষা যাত্রা সহজ থেকে সহজতার করে দিয়েছে কোন অসুবিধা ছাড়াই প্রতিদিন হাজার থেকে লাখো মানুষ উন্নত শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে এখানে ছুটে আসে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের শেষ কথা
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এই লাইনে তিনটি ট্রেন চলাচল করে। এদের ভাড়া যথাক্রমে সুপার চেয়ারে ১৬৫ টাকা ও এসি চেয়ারে ৩৭৪ টাকা। জয়পুরহাট বাংলাদেশের অন্যতম একটি পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন ও জনবহুল রেলওয়ে স্টেশন। স্বল্প খরচ, যাত্রা নিরাপদ ও নির্দিষ্ট সময়ে জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে পৌঁছানো যায় তাই প্রতিদিন বহু সংখ্যক লোক জয়পুরহাট থেকে রাজশাহীতে যাই ট্রেনে করে। ধন্যবাদ।
মনের লিফ্ট ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url