রাজশাহী থেকে ভেড়ামারা সকল ট্রনের সময় সূচি ও ভাড়া
ভ্রমন করতে পছন্দ করেন না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভ্রমণ যাবতীয় স্থলপথে সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ হচ্ছে ট্রেন ভ্রমন।
পোষ্ট সুচিপএঃ রাজশাহী থেকে ভেড়ামারা সকল ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া
- কেন কেন ট্রেন ভ্রমণ এত জনপ্রিয়
- সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া
- মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া
- কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় সূচি ও ভাড়া
- টুংগীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
- প্রতিটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি থাকে কেন
- ট্রেনে ভ্রমণের সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত
- সাবধানতা
- আমাদের শেষ কথা
রাজশাহী থেকে ভেড়ামারা সকল ট্রনের সময় সূচি ও ভাড়া
ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ভাড়া | যাএা বন্ধের দিন |
---|---|---|---|---|
সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস | সকাল ৬.০০ টা | সকাল ৭.৫৫ মিনিট | এস চেয়ার: ১৪০ টাকা | সোমবার |
মধুমতি এক্সপ্রেস | সকাল ৬.৪০ মিনিট | সকাল ৮.২৫ মিনিট | এস চেয়ার: ১৪০ টাকা | শনিবার |
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস | দুপুর ২.৩০ মিনিট | বিকাল ৪.১০ মিনিট | এস চেয়ার: ১৪০ টাকা | শুক্রবার |
টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস | বিকাল ৩.৩০ মিনিট | বিকাল ৫.০০ টা | শোভন চেয়ার ১২০ টাকা | মঙ্গলবার |
কেন ট্রেন ভ্রমণ এত জনপ্রিয়
স্থলপথে নিরাপদ ভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বল্প খরচে যাওয়ার জন্য ট্রেন খুবই জনপ্রিয় একটি যানবাহন। ট্রেন আসার ২০ থেকে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছাতে হয় নির্দিষ্ট টাইমে ট্রেন আসে মাঝেমধ্যে ট্রেন আসতে বিলম্ব করে, ট্রেন এসে প্লাটফর্মে দাঁড়ালে যাত্রীরা নিজ নিজ মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে। নির্দিষ্ট সময় পর ট্রেন তার যাত্রা শুরু করে। ট্রেন ভ্রমন খুবই আনন্দের হয়।
শহরের কোলাহল পরিবেশ ছাড়িয়ে গ্রামের মেঠো পথ ধরে নদী নালা, খাল বিল পেরিয়ে ট্রেন ছুটে চলে তার আপন গতিতে। জানালা দিয়ে এই মনমুগ্ধ পরিবেশের দেখা যায়। মাঝে মাঝে ঝাল মুড়িওয়ালা বাদামওয়ালা, মিষ্টি ওয়ালা, চকলেট ওয়ালা, হাক দেয়। যাত্রীরা তাদের কাছ থেকে পছন্দের খাবার কিনে নিয়ে খেতে খেতে যাত্রাপাড়ী দেয়। ট্রেনে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন গামছা, লুঙ্গি, তোয়ালে, খেলনা পাতিল, বই ডায়েরি ইত্যাদি পাওয়া যায়।
ট্রেনে তারা গতি পাল্টানোর কারণে কখনো মৃদু বাতাস আবার কখনো প্রবল বেগের বাতাস গায়ে লাগে যার ফলে আলাদা শান্তি অনুভব করা যায়। ট্রেন ছুটে চলে তার আপন গতিতে ট্রেনের রাস্তা সমতল হওয়ায় যাত্রাপথে কোন ঝাঁকুনি খেতে হয় না যার ফলে অত্যন্ত আরাম লাগে মালামালের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় না । ট্রেন ভ্রমণ অনেক নিরাপদ। কোন জ্যামের শিকার হতে হয় না, যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
ঈদের সময় বা বড় কোন অনুষ্ঠানে ছুটির সময় পথেঘাটে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ে যার ফলে যারা মাইক্রো ও বাসে ভ্রমণ করে তাদের অনেকক্ষণ সময় জ্যামে কাটাতে হয়। এ সময় জ্যামের হাত থেকে বাঁচার জন্য যাত্রীরা ট্রেন বেছে নেই। তাই এই সময় ট্রেনে প্রচুর ভিড় হয় অনেকে টিকিট পায় না দাঁড়িয়ে যেতে হয়। ট্রেনে বসে শুয়ে উভয় ভাবে যাওয়া যায়।
শোভোন চেয়ার গুলোতে বসে ও এসি স্লিপার বা তাপাকূনল চেয়ারে শুয়ে যাওয়া যায়, যার ফলে দূরপাল্লার পর ভ্রমণে কোন অসুবিধা হয় না ঘুমিয়ে যাওয়া যায়। ট্রেন ভ্রমণ খুবই স্বল্প ব্যায়ের। ভাড়া কম হওয়ায় দূরপাল্লার পথ খুবই স্বল্প খরচে পাড়ি দেওয়া যায়। তাই উক্ত বিষয়গুলোর কারণে ট্রেন ভ্রমণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বাহন।
সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
খুলনা থেকে রাজশাহী ও রাজশাহী থেকে খুলনা এই রুটি চলাচল করে আন্তঃনগর সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বিকাল ৪ টার সময় খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে যশোর দর্শন ঃ চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা হয়ে ট্রেনটি রাত সাতটা বেঁচে ৫০ মিনিটে ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায় এখান থেকে যাত্রা শুরু করে রাত আটটা দশে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে আমিও থামেও ট্রেনটি তার ২০ মিনিট তার যাত্রার বিরতি নেই। যাত্রা বিরতিছে শেষে ৮:৩০ এ ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে রওনা দেয় আজিমনগর আব্দুলপুর আড়ানী পেরিয়ে ট্রেনটি রাত দশটার সময় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়
মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়া
মধুমতি এক্সপ্রেস বাংলাদেশের অন্যতম একটি দূরপাল্লার ট্রেন। ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ঢাকা ও ঢাকা থেকে রাজশাহী চলাচল করে। ১০ থেকে ১২ বগি বিশিষ্ট ট্রেনটিতে একসাথে অনেক মানুষ চলাচল করতে পারে। ট্রেনটিতে রয়েছে সুপার শেয়ার এসি চেয়ার ও টাকাকোণ্ড বা স্লিপার। মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিটে তার যাত্রা শুরু করে আড়ানী আব্দুলপুর গোপালপুর পার হয়ে ট্রেনটি সাতটা চল্লিশে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে পৌঁছায় সেখানে ২০ মিনিট যাত্রা বিরতি শেষে আটটার সময় ট্রেন তার যাত্রা শুরু করে পাকশি হার্ডিং ব্রিজ পার হয়ে ৮:২৫ এ ট্রেনটি ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় । ৮ঃ২৭ এ ট্রেনটি পুনরায় তার যাত্রা শুরু করে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
মনের লিফ্ট ব্লগের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url